ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্য কাঁদলেন অমলেন্দু সরকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্য কাঁদলেন অমলেন্দু সরকার কলকাতায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় অমলেন্দু সরকার-ছবি-উজ্জ্ব ধর/সোহেল সরওয়ার

কলকাতা থেকে: ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান থেকে ৭০ এর আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ-সদ্য প্রয়াত জননন্দিত নেতা, চট্টল বীরখ্যাত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে তিনি ছিলেন একসঙ্গে। তিনি অমলেন্দু সরকার। বর্তমানে কলকাতাবাসী এই বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কাঁদলেন তার দীর্ঘদিনের সহচর মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্য।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল তার, চোখের পানি ফেলেছেন বারেবারে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কলকাতাবাসীর উদ্যোগে মহিউদ্দীন চৌধুরীর শোকসভায় সভাপতির বক্তব্য দেন অমলেন্দু সরকার।

অমলেন্দু সরকার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ৫৫ বছরের। দীর্ঘদিনের এই সময়ে পর্যবেক্ষণ করে আমি বলতে পারি, ‘এমন গণমানুষের নেতা আর কখনও আসবে না। ’

মহিউদ্দিন চৌধুরী আকাশ থেকে উড়ে এসে নেতা হননি। গণমানুষের হয়ে রাজনীতি করতে করতে তিনি চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা হয়েছেন।

স্বাধীনতার আগ থেকেই বাংলাদেশের পক্ষে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভূমিকার কথা বলতে দিয়ে অমলেন্দু সরকার বলেন, পাকিস্তান আমলে একবার মুসলিম লীগ লালদীঘি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। সেই সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী ছয় দফা মানতে হবে বলে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সমাবেশ পণ্ড করে দেন।

তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিজের মেরুদণ্ড মন্তব্য করে বলেন, দিন-রাত-মাস শেষ হয়ে যাবে কিন্তু একজন মহিউদ্দিন চৌধুরী আর আসবে না।

মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালীন চট্টগ্রামের হামজারবাগে পাঁচতলা একটি ভবন ধসে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ঘটনার সময় দেখেছি টানা তিনদিন তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরেননি। নিজে বসে ঘটনার পর্যবেক্ষণ করেছেন, উদ্ধার অভিযানে নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি অতোটাই গণমানুষের পক্ষে ছিলেন।

চট্টগ্রামের প্রায় সব উন্নয়নে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোয়া রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমন মানুষ কোথায় থেকে আসবে? বিকল্প কোথায় থেকে আসবে?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ জানাতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কলকাতায় সংঘটিত হতে এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থকষ্টে মহিউদ্দিন চৌধুরী আর আমি তখন কলকাতায় ময়লার গাড়ি টেনেছি। একসঙ্গে সংঘটিত হয়েছি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানাতে।

একুশে টেলিভিশনের চট্টগ্রামের আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহারের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সার্জন ডা. পূর্ণেন্দু রায়।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-চট্টগ্রাম পরিষদ কলকাতার সভাপতি রতন ধর, মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্টজন অচিন্ত্য সেন, শীর্ষস্থানীয় নিউজপোর্টল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী।

**মহিউদ্দিনের গলব্লাডার অপারেশন দিয়ে সার্জারি শুরু করি 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।