অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মনজুরুর রহমান, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, চেতনার চিরন্তন উৎসের অপর নাম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র আমাদের ভাবায়, চলচ্চিত্র আমাদের কান্না করায়। চলচ্চিত্র আমাদের আনন্দ দেয় আবার চলচ্চিত্র আমাদের শিক্ষা দেয়। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের পথ চলা শুরু। তিনি অনেক আগেই বুঝেছিলেন শুধু রাজপথে নেমে মিছিল করলেই হবে না। একদিকে যেমন মিছিলের প্রয়োজন অন্যদিকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চেতনার জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন। সেই সময় অনেক সিনেমা মুক্তিযুদ্ধকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
ইনু আরও বলেন, বিশ্বে হাজার হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা ছয় নম্বর অবস্থান করে। এই ভাষায় কথা বলে বিশ্বে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ। তবু আমরা অনেকটা পিছনের দিকে আছি। এর কারণ আমরা আমাদের সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। কিন্তু আমি দেখেছি বিশ্বে বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সিনেমার বড় বাজার আছে। এজন্য একযোগে কাজ করতে হবে দুই দেশকে। বাংলাদেশ ও বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) উৎসবের শুরুর দিনে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হয় ২০১৫ সালের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘বাপাজানের বাইস্কোপ’। এছাড়া চারদিন ধরে গেরিলা, আমার বন্ধু রাশেদ, অনিল বাগচীর একদিন, চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু, টেলিভিশন, গাড়িওয়ালা, জন্মসাথী, শোভনের স্বাধীনতাসহ একাধিক ছবি দেখানো হবে।
এছাড়া কলকাতার নন্দন-২, ৩ এবং নজরুল তীর্থ-৩ প্রেক্ষাগৃহে ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেখানো হবে বেশকিছু বাংলাদেশি সিনেমা। এর পাশাপাশি এ চারদিন নন্দন গ্যালারি-৪ এবং নজরুল তীর্থ আর্ট গ্যালারিতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে।
প্রতিদিন অনুষ্ঠান দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
ভিএস/এমজেএফ