১৮৯৯ সালের এমনই এক জানুয়ারিতে শীতে কেঁপে উঠেছিল কলকাতা। আবহাওয়া অফিসের ইতিহাস বলছে, ওই বছরের ২০ জানুয়ারি মহানগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ বছরও কলকাতায় আচমকা শীতের দাপট। তাতে ১১৯ বছর আগের সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
জোরালো কাশ্মীরি হাওয়ার দাপটে কাঁপছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলা ছাড়া গোটা রাজ্য এখন শৈত্যপ্রবাহের কবলে।
হাড় হিম করা ঠাণ্ডা মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকছে বলে জানিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া অফিস। তারপর শীতের মতিগতি কী থাকবে, তা বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। তবে শীত কমলেও আপাতত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেই থাকবে।
এদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে ঘন কুয়াশার জন্য ভারতে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এই মুহূর্তে রাজস্থানের আলওয়ারে রাতের তাপমাত্রা কার্যত শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশও ঠাণ্ডায় জবুথবু। রাঁচি, পাটনাতেও জবরদস্ত শীত। সেই উত্তুরে কাশ্মীরি হাওয়ায় ভর করে ঠাণ্ডা আছ়ড়ে পড়ছে বাংলায়।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি নিচে থাকলে তা শৈত্যপ্রবাহ বলে মনে করা হয়। তাই কলকাতার পাশাপাশি ঠাণ্ডায় জবুথবু পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। বেশ কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গেছে। রীতিমতো শৈত্যপ্রবাহ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ৫.৭, আসানসোলে ৬.৩, পুরুলিয়ায় ৬.৯, বাঁকুড়ায় ৭.৮ এবং দুর্গাপুরে পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। এছাড়া তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রিতে নেমেছে দমদমে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে শীতলতম স্থান ছিল বর্ধমানের পানাগড়। সেখানে পারদ ৫.২ ডিগ্রিতে নেমেছে।
সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা গড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। কলকাতায় সরকারিভাবে এখনও অব্দি শৈত্যপ্রবাহ সতর্কতা জারি করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
ভিএস/এএ