এ বছর সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ একর জমির উপর বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থান পরির্বতনের ফলে প্রায় এক একর জায়গা কমে গেছে।
তবে স্টলের সংখ্যা ও আয়তন আগের চেয়ে কমে গেলেও ঐতিহাসিক এ বইমেলায় মানুষের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছে উদ্যোক্তা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড।
গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মিলন মেলার তুলনায় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আসতে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের। মেলায় আসার জন্য ১১ই ফেব্রুয়ারি শেষদিন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৭৫টি বিশেষ বাস চালানোর ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
আগামী ৩১শে জানুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন ফ্রান্সের সংস্কৃতি ও যোগাযোগমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোসি নাইসেন। এবার তৃতীয়বারের জন্য বইমেলার ফোকাল থিম হচ্ছে ফ্রান্স।
বইমেলার জায়গা কমলেও এবার ফ্রান্সের ফোকাল থিম প্যাভিলিয়ন সব থেকে বড় হবে। ত্রিদিব বাবু জানিয়েছেন, এবার ১৪ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে হবে ফ্রান্সের থিম প্যাভিলিয়ন। কলকাতায় নিযুক্ত ফরাসি কনসাল জেনারেল ডেমিয়েন সৈয়দ জানান, তাদের প্যাভিলিয়ন অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে। মাল্টিমিডিয়া, থ্রি ডাইমেনশনসহ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ফ্রান্সকে তুলে ধরা হবে ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’য়।
ফ্রান্স ছাড়া বাংলাদেশসহ মোট ২৯টি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মেলায় অংশ নিচ্ছে ৩৬টি প্রকাশনা সংস্থা। যেখানে গতবার অংশ নিয়েছিল ৪৪টি প্রকাশনা সংস্থা। এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হচ্ছে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের আদলে। ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে তৈরি হবে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।
প্রতিবারের মত এবারও বইমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল। ৮ থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি চলা এ ফেস্টিভ্যালে ১০টি দেশের প্রায় ৬৫ জন লেখক, কবি, যোগ দিচ্ছেন।
গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে এবারও লটারি করে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকার গিফট কুপন দেওয়া হবে পুস্তকপ্রেমীদের। এ কুপন দিয়ে বই কেনা যাবে। শেষ দিনের লটারিতে দেওয়া হবে গাড়ি। ক্যাশ মেমো দিয়ে লটারিতে অংশ নেওয়া যাবে। বইমেলার জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করছে গিল্ড। অ্যাপ থেকে স্টলের অবস্থানসহ মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮
ভিএস/আরএ