এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভবনের চিফ কো-অর্ডিনেটর তথা অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা শেখ শফিউল ইমাম।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশ ভবনে প্রায় আড়াইশো পরিদর্শকের ভিড় ছিল প্রথম দিনেই।
বুধ ও বৃহস্পতিবার ছাড়া প্রতিদিন মিউজিয়াম খোলা থাকবে। কোনো প্রবেশ মূল্য লাগছে না, তবে ভেতরে প্রবেশ করতে হলে লাগবে সচিত্র পরিচয়পত্র। যারা বাংলাদেশ ভবন দেখতে আসবেন তারা মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি একসঙ্গে ঘুরে দেখার সুযোগও পাবেন। তবে ভবনের ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রবেশের সময় থাকছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত৷
রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের বহু অজানাই জানা যাবে এখানে৷ এছাড়াও বাংলাদেশের লোকশিল্পের নির্দশনও মিলবে৷ অর্থাৎ, এক কথায় বলা যেতে পারে শান্তিনিকেতনেই উৎসুক সাংস্কৃতিকপ্রেমীরা দেখতে পাবেন এক টুকরো সোনার বাংলা৷
চলতি বছরের গত ২৫ মে এই ভবন উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ ভবন তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের ২৫ কোটি অর্থায়নে এবং ভারতের ন্যাশনাল কনস্ট্রাক্টশন কোম্পানির উদ্যোগে।
এছাড়া ভবনের বাইরের একটি রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরি হবে। যার একটি করবেন বিখ্যাত শিল্পী যোগেন চৌধুরী।
এ বিষয়ে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, কিছু কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১৩ লাখ রুপি দেবে। ম্যুরাল বাদেও বাংলাদেশ ভবনে বসানো হবে সিসি টিভি। আপাতত বিশ্বভারতীর সিসি টিভি দিয়ে কাজ চলছে। যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ঠিক হয়েছিল সেপ্টেম্বরে খোলা হবে, তাই খুলে দেওয়া হলো। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
ভিএস/এএ