ধীরে ধীরে সময়ের বিবর্তনে কলকাতায় সাবেকী ঘরনা পরিবর্তন হতে থাকে থিমে। পঞ্চমী, চতুর্থী, এমনকি তৃতীয়াতেও শুরু হতে থাকে দেবী দর্শন।
ফলে কলকাতার অন্যতম প্রধান উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এতোদিনকার ঐতিহ্য, ধারণা ও মিথ-সবই ভেঙে নতুন ট্রেন্ড গড়লেন বাঙালিরাই। ষষ্ঠী থেকে দশমী- পাঁচদিনে আর বাধা রইল না পূজার আনন্দ-উচ্ছ্বলতা। ছোট-বড় মণ্ডপে এখন থেকে মানুষের আনাগোনা, উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে বলা যায়, এ বছর থেকে বাঙালির সেরা এ উৎসব ১৫ দিনের! মহালয়া থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত!
কিন্তু কেন এতো আগে থেকে দেবী দর্শনের তাড়া? অনেকেই বলছেন, কলকাতায় এখন আর একই ধরনের প্রতিমা বা সেই মন্ধাতার আমলের মতো মণ্ডপ তৈরি হয় না। সবকিছুর মধ্যে আধুনিকতা ও শিল্পের ছোঁয়া লেগেছে। সারা কলকাতায় ১২শ’র মতো পূজা এবং প্রতি পূজার চিন্তাধারা ভিন্ন। কারোর সঙ্গে কারো মিল নেই। এসব কি মিস করা যায়? তাই মহালয়া থেকে যদি কিছুটা আগেভাগেই উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা, সল্টলেক প্রভৃতি এলাকার ঠাকুর দর্শন সেরে ফেলা যায়। তাহলে পূজায় তুঙ্গে থাকা দিনগুলো ভিড়ের অত্যাচার সহ্য করতে হবে না। ওই সময়টা পাড়ায় বা আত্মীয় বাড়িতে নিজের মতো করে কটা দিন কাটানো যাবে। তবে যে বা যারা যাই যুক্তি দিক না কেন, মহালয়া থেকে দেবী দর্শনে নেমে এ বছর পূজার আগেই উৎসব শুরু করে দিয়েছে কলকাতাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
ভিএস/আরবি/