দর্শক টানতে থিম যখন প্রধান সেখানে থিমেও উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কখনও সৌহার্দ্যে, কখন শিল্পীর ভাবনায়।
কেষ্টুপুরে প্রফুল্লকানন বালকবৃন্দ ক্লাবের পূজা। এবার চমক মণ্ডপে একটি নয়, দু’টি প্রতিমা আছে। পূজা হয়েছে দু’টিতেই। দু’জায়গাতেই ছিলো পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা। এই পূজা এবার ২৬ বছরে পড়লো। শিল্পী অরিজিৎ আম্বলীর ভাবনা, ভারত ও বাংলাদেশের দুইপারের বাংলাকে। এখানকার থিমের নাম যোগমায়ার যোগসূত্র। পূজা কমিটির সম্পাদক সৈকত চৌধুরী জানান, এই পূজার থিম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজি নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করা হয়েছে। দুই বাংলা ভাগের মানসিক যন্ত্রণা অনেকের বুকের মধ্যে বন্দি হয়ে আছে আজও। এই যন্ত্রণা বিহঙ্গ হয়ে মুক্তি পাচ্ছে আমাদের পূজা প্রাঙ্গণে।
এরপরেই আছে হুগলী জেলার বলাগড়ের ইয়ুথ কোর ক্লাব। সেখানের থিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল। তারা জানে এই বিভাগে সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ক্লাস হয়। শুধু বাইরে নয় ভেতরের মণ্ডপ সজ্জাও অনেকটা সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ক্লাসের আদলে। রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু, বেগম রোকেয়া, আব্বাস উদ্দিনসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি।
এসব দেখতে ভিড়ও হচ্ছে প্রতিদিন। হাসতে হাসতে দক্ষিণ কলকাতার পরিতোষ সাহা বলেন, বিদেশ ঘোরার সামর্থ্য নেই। তাই প্রতিবারই পূজার দিনগুলির জন্য অপেক্ষা করে থাকি। টেমস নদী থেকে আইফেল টাওয়ার বা অ্যামাজনের জঙ্গল সবই দেখা হয়ে যায় প্রতিবার। শেকরের টান এখনও অনুভব করি। এবারই দেখলাম কলকাতার কয়েকটা বারোয়ারী পূজায় বাংলাদেশ উঠে এসছে। বেশ ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
ভিএস/জেডএস