শুক্রবার (২ নভেম্বর) অষ্টমবারের মতো শুরু হওয়া কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা হিসেবে আমাদের মাতৃভাষা অনেক পুরনো।
এর আগে বাংলাদেশ বইমেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও নির্দিষ্ট সময় দাবি করেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। আর অর্থমন্ত্রীর কাছে তার আবেদন ছিল বাড়ানো হোক বরাদ্দ।
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ভাষার জন্য একটা রাষ্ট্র গঠন। বাংলাদেশকে আমার সেলাম জানাই। পশ্চিমবাংলার কাছে বাংলাদেশ সব সময় প্রিয়। তাই যতবার বইমেলার জন্য আবেদন করা হয়েছে, ততবারই আমরা আগে তা দিয়েছি। এটা ঠিক মেলাটি নির্দিষ্ট স্থান ও সময়ে হলে আরও প্রচার পাবে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করলে নিশ্চয়ই মেয়র পারিষদে বিষয়টা তুলবো।
প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, কলকাতার উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ বিশিষ্টজনেরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দশ দিনব্যাপী বইমেলায় ২৫ হাজার শিরোনামে সরকারি ও বেসরকারি প্রকশনা নিয়ে ৬৯টি প্রকাশনা অংশ নিচ্ছে। যা গতবার ছিলে ৪৭টি। মেলা চলবে স্থানীয় সময় প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, শনি ও রোববার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মেলা শেষ হবে ১১ নভেম্বর। মেলায় ৬১টি স্টলে বিপুল বাংলাদেশি বইয়ের সম্ভারের সঙ্গে কলকাতাবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ থাকবে প্রতিদিন দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
ভিএস/এএ