গত শুক্রবার (২ নভেম্বর) মেলা শুরু হওয়ার পর সোমবার (৫ নভেম্বর) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে জানা যায়, নগরবাসী সুযোগ পেলেই ঢুঁ মারছে বইমেলায়। প্রকাশকরা বলছেন, সাপ্তহিক ছুটির দিন শনি ও রোববারে বই বিক্রি হয়েছে বেশি।
একাধিক স্টলের কয়েকজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, পরপর দু’বছর একই স্থানে হওয়ায় মানুষের কাছে বইমেলার প্রচার বাড়ছে। এরকম যদি প্রতিবছর নির্দিষ্ট স্থানে ও নির্দিষ্ট সময় মেলাটি হয়, তাহলে কলকাতার মানুষ আরও জানতে পারবে। ব্যবসাও মোটামুটি ঠিক আছে। বাংলাদেশের সাহিত্য, ইতিহাস, কাব্য- প্রায় সবরকমের বইয়ের কাটতি আছে।
বই চুরি হওয়া স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর সঙ্গে আলাপ হলে তিনি বলেন, বই চুরি মানে বিদ্যা চুরি। আর বিদ্যা কখনো চুরি করা যায় না। তবে মানুষ প্রত্যেক স্টলে গিয়ে বইয়ের ব্যাপারে ভালোই খোঁজখবর নিচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি মিউজিয়াম স্টলের এক কর্মী বলেন, আমরা মূলত ডিসপ্লে করেছি, যেন আরও বেশি করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারে কলকাতা শহরবাসী। তবে বঙ্গবন্ধুর ওপর ইংরেজিতে লেখা বই ও বাংলাদেশের মানচিত্র কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা। উদ্বোধনের দিন আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, পরিকল্পনা হচ্ছে একই স্থানে ও নির্দিষ্ট সময় মেলাটি করার। আশা করি তা হলে এখানে প্রতিটি প্রকাশকের ব্যবসা ভালোই হবে।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় বইমেলার মঞ্চে বিশেষ পরিবেশনা ছিলো বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীদের। শিশু একাডেমির স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, এবারে শিশুদের বই ছাড়াও সিডির মোড়কে ছড়া, গান প্রভৃতি ভালো বিক্রে হচ্ছে। তবে মেলাটা একস্থানে প্রতিবার হলে ভালোই হবে। মানুষের মনে থাকবে।
১০ দিনব্যাপী এই বইমেলায় ২৫ হাজার শিরোনামে সরকারি ৩টি ও বেসরকারি ৬৬টি প্রকশনা মিলিয়ে মোট ৬৯টি প্রকাশনা সংস্থা ৬১টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। মেলা শেষ হবে ১১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
ভিএস/এইচএ/