জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হোক বা সরকারি পিজি হাসপাতাল অথবা এনআরএস কিংবা আরজিকর- প্রতিটিতেই ডাক্তার দেখাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর এতেই চলে যায় প্রায় অর্ধেক দিন।
প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে টিকিট কাটা, তারপর সেই টিকিটের এন্ট্রি, আবার ডাক্তার দেখানোর লাইন। সব মিলিয়ে প্রায় একটা দিন শেষ হয়ে যায় রোগীর। আর এ জন্যই রোগীদের কথা চিন্তা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা চালু করতে যাচ্ছেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা এর আগে অনেক সুবিধাই চালু করে এসেছেন রোগীদের কথা ভেবে। তিনি সরকারি হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি হাসপাতালে সুলভমূল্যের মেডিসিনের দোকানে রোগীদেরে জন্য ওষুধে ৬৫ শতাংশ ছাড়েরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এতে দিন দিন রোগীর সংখ্যা আরও বাড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তো আছেই, এর পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোসহ বাংলাদেশি রোগীরা এখানে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তাই রোগীদের সহজে এবং আধুনিক উপায়ে টিকিট নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী এ অনলাইন ব্যবস্থা চালু করছেন।
সূত্র বলছে, কলকাতা পিজি হাসপাতালের আউটডোরে টিকিট করার জন্য যে ১০টি কাউন্টার রয়েছে, সেখানে আসছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অনলাইন টিকিট পরিষেবা।
এদিকে, আউটডোরে টিকিট কাটতে দুই রুপি লাগে। অনলাইনেও তা-ই লাগবে। এর বাইরে অন্য কোনো জায়গায়ও সমান খরচই লাগবে।
পিজি হাসপাতালের অধিকর্তা ডা. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটা বা অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা চালুর জন্য আমরাই সরকারের কাছে বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
ভিএস/টিএ