সোমবার (২৬ নভেম্বর) এ ঘটনায় জেট এয়ারওয়েজের এক যাত্রীকে আটক করে কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা।
ওই যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় এয়ারপোর্ট থানায়।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের একটি কলেজের ছাত্র ওই যুবক। পরীক্ষা শেষ হওয়ায় মুম্বাই বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। জেট এয়ারওয়েজের এক আইরিশ যাত্রী বেঞ্জামিনের ঠিক সামনের সিটে বসেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ওই আইরিশ যাত্রী শুনতে পান একটি শব্দ ‘আই উইল ডেসট্রয় অল’। বেঞ্জামিন দেখেন, সামনের সিটে বসা যুবকটি ভিডিও কল করে কথা বলছেন। শুধু ওই যুবকের কণ্ঠস্বরই শুনেছেন আইরিশ যাত্রী। তিনি আর চুপ থাকতে পারেননি। এরপরই তিনি এক এয়ার হোস্টেসকে ডেকে বিষয়টি জানান। তিনি প্লেনের দুই পাইলটের কাছে বিষয়টি জানান।
অভিযুক্ত যুবক জানায়, তিনি ভিডিও চ্যাট করছিলেন এক বন্ধুর সঙ্গে। মজা করেই মুখটা ঢেকে বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘আই উইল ডেসট্রয় অল উইমেনস হার্ট’ (আমি সব মহিলার হৃদয় ধ্বংস করব। )
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সেই আইরিশ যাত্রী বেঞ্জামিনকেও। তিনিও পুলিশের কাছে স্বীকার করেন ‘ডেসট্রয়’ কথাটি শোনার পর এতটাই চমকে গিয়েছিলেন যে, পরের শব্দগুলো শোনেননি তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক যাত্রীর নাম জে পোদ্দার। তিনি উত্তর কলকাতার বেলেঘাটার রাধামাধব দত্ত গার্ডেন লেনের বাসিন্দা। তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অবাক হয়ে যান পুলিশের কর্মকর্তারা। মেলেনি কিছুই। পুলিশ ওই যুবকের সম্পর্কে সব পরিষ্কার হওয়ার পরই বেলেঘাটার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। ওই যুবকের বাবা নির্মল পোদ্দার থানায় এসে বলেন, ছেলে এমন কাণ্ড কেন করল, তা জানি না। হয়তো মজার ছলেই এমনটা করে ফেলেছে। সবশেষ সব খতিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ছাত্রকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
ভিএস/এপি/এসএইচ