তা সত্ত্বেও ভারতের আধুনিক সমাজের বুকে আজও প্রবাহমান এই কু-প্রথা। রাজ্যটির নাম রাজস্থান।
বিজেপি নেত্রী শোভা চৌহান ভোটের প্রচার করতে গিয়েছিলেন রাজ্যটির পিপলিয়া কালাই গ্রামে। সেখানে এক ব্যক্তি তাকে বলেন, এখানকার দেওয়াসি সমাজের মানুষের মধ্যে এখনও বাল্যবিয়ের চল আছে। কিন্তু পুলিশ এসে ঝামেলা করে।
বিষয়টি শোনার পর এই কু-প্রথা থেকে সরে আসার পরামর্শ দেওয়ার পরিবর্তে, মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নেত্রী বলেন, দেশে কেন্দ্রীয় সরকার আর রাজ্যে সংগঠন তো আমাদেরই আছে। এবারে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্য রাখবো যাতে পুলিশ এসব ব্যাপারে নাক না গলাতে পারে।
বিজেপির নেত্রীর এই বক্তব্যের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। একজন নেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে হতবাক ভারতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল!
তাদের বক্তব্য, রাজস্থানের মতো রাজ্য যেখানে প্রশাসনকে এখনও বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। বিভিন্নপ্রকল্প তৈরি করতে হয়। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এমন কথা তিনি বলেন কোন আক্কেলে!
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝেমধ্যে বাল্যবিয়ের কথা শোনা গেলেও, রাজস্থানে তা এখনও একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে ‘বালিকা বধু’ নামে জনপ্রিয় একটি হিন্দি সিরিয়ালও তৈরি হয়েছে। এছাড়া গোটা পৃথিবীর বুক থেকে এই কু-প্রথাকে মুছে ফেলতে ২০১২ সালে দুনিয়াজুড়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এর প্রধান শরিক হয়েছে ভারতও। এসবের মধ্যে নেত্রীর এমন কথা তাও আবার রাজস্থানে!
আগামী ৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদের (বিধানসভা) নির্বাচন হতে চলেছে রাজস্থানে। গত নির্বাচনে রাজস্থানে বিজেপির সরকাই ক্ষমতায় ছিলো। যদিও ভারতে একের পর এক জনমত সমীক্ষা পূর্বাভাস দিচ্ছে। এই রাজ্যে বিজেপির ফল খারাপ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধির এমন কু-প্রথাকে সায় দেওয়ায় যথেষ্ট অস্বিস্তে পড়েছে বিজেপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ভিএস/এএটি