শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) দার্জিলিংয়ের ঘুম, জোড়বাংলো, সুখিয়া পোখরি, মানেভঞ্জন, মেঘমা, চিত্রে ও ফালুট এলাকাতে এ শিলাবৃষ্টি হয়।
এবার এলাকাটিতে তুষারপাতের শঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখানে আবহাওয়ার যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে এবার তুষারপাত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এতে সম্ভাবনা পর্যটদের। কেননা, তারা এ জায়গায় তুষারপাত দেখতে বেশ আগ্রহী।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পাহাড়ে গাড়ির সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। বৃষ্টিও কমেছে। দূষণের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে বলে তুষারপাত হচ্ছে না। তবে এবার ডিসেম্বর থেকে যেভাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, তাতে তুষারপাত হওয়ার ‘সম্ভাবনা’ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে পাহাড়ের রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। যা চলেছে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এসময় হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডাও পড়ে। তাছাড়া এবারের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই এখানে শীত পড়তে শুরু করে বলে জানা গেছে।
শনিবার এখানের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে দুপুরের দিকে ছিল তিন থেকে চার ডিগ্রিতে।
এখানকার পর্যটক রতন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, এবার যেভাবে তাপমাত্রা কমছে, তাতে মনে হয় তুষারপাত দেখে যেতে পারবো। হতাশ করবে না পাহাড়। তবে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আবহাওয়া খারাপের কারণে তা দেখতে পাওয়া যায়নি।
তথ্য বলছে, দার্জিলিংয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এখনের মতো এতো ঠাণ্ডা ছিল না। তবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বেশ ঠাণ্ডা পড়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ভিএস/টিএ