ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আমরাই আবার ক্ষমতায় আসব: নরেন্দ্র মোদী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
আমরাই আবার ক্ষমতায় আসব: নরেন্দ্র মোদী নরেন্দ্র মোদী-ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: বিরোধী দলগুলো চায় দুর্বল সরকার। যাতে অবাধে লুটেপুটে খাওয়া যায় দেশটাকে। তাদের একমাত্র প্রতিপক্ষ আমি। কারণ আমি চাই মজবুত সরকার। যতই সম্মিলিত হয়ে জোট গঠনের চেষ্টা করা হোক, মনে রাখবেন তা হবে না। কেউ রেহাই পাবেন না। তৈরি থাকুন। একের পর এক জোটের চরিত্রদের কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। সবে তো শুরু হলো। দেখুন এরপর কী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে, বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের সম্মেলনে দলীয় প্রতিনিধিদের সামনে দিল্লীর রামলীলা ময়দানে এমনই বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে সিবিআইকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? কিসের এত ভয়? এক সময় আমাকেও তো সিবিআই একটানা নয় ঘণ্টা জেরা করেছিল। অমিত শাহকে জেলে পাঠিয়েছিল।

পরে প্রমাণ হয়েছিল সবই মিথ্যা। সিবিআইকে কোনোদিন বাধা দিইনি। বিরোধীরা যে জোট করছেন তার একমাত্র কারণ হলো দুর্নীতি। তারা দল বেঁধে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ তাদের ভয় আমরা আবার ক্ষমতায় এলে, এবার তাদের দুর্নীতির দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই মরিয়া হয়ে আজকাল একটা ব্যর্থ এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে। ওই ব্যর্থ পরীক্ষার নামই হলো মহাজোট। '

'আমরা এমন একটি সরকার দেশবাসীকে উপহার দিয়েছি, যার বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এমন রেকর্ড এর আগে নেই। আমরা চাই উন্নয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী সরকার। বিরোধীরা চায় লুটপাট চালানোর জন্য দুর্বল সরকার। আমাদের সরকারকেই ভারতবাসী চাইছে। আমরাই আবার ক্ষমতায় আসব। এটা সাধারণ মানুষের চাহিদা। সুতরাং বিরোধীদের সব উদ্যোগই ব্যর্থ হবে। '

'যে সব দল আজীবন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েই রাজনীতি করেছে, হঠাৎ দেখা যাচ্ছে তারা বন্ধু হয়েছে। কোনো আদর্শ নয়, নীতি নয়। সবাই দল বেঁধেছে একজন মানুষের বিরুদ্ধে। সকলের লক্ষ্য একটাই। মোদিকে হারাও। ২০১৪ সালে বলেছিলাম, আমি জনগণের প্রধান সেবক। আমি দেশের চৌকিদার। বিরোধীরা এখন বলছে চৌকিদারই চোর? যারা রক্ষক হবেন, তারাই হবে সবথেকে বড় চোর? দেশবাসীকে এসব বলে বিরোধীদের সরকার গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। দেশবাসী খুব ভালো করেই জানে এরা আসলে পরিবারতন্ত্র আর আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে দেশের সম্পদ লুট করতে আগ্রহী। তাই চৌকিদারকে সকলের এত ভয়। আমি দিনরাত পরিশ্রম করছি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। আমরাই আনব নতুন ভারত। '

প্রসঙ্গত, ২০১৯ -এর ভারতে লোকসভা নির্বাচনে (জাতীয় নির্বাচন) অন্যান্য ইস্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ইস্যু কৃষকই হতে চলেছে তা রাহুলের কংগ্রেস, মমতার মহাজোট ও ক্ষমতাসীন মোদির ভাষণে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এক কথায় এবারের নির্বাচন কৃষকের কাণ্ডারি হয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
ভিএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।