ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে সিবিআইকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? কিসের এত ভয়? এক সময় আমাকেও তো সিবিআই একটানা নয় ঘণ্টা জেরা করেছিল। অমিত শাহকে জেলে পাঠিয়েছিল।
'আমরা এমন একটি সরকার দেশবাসীকে উপহার দিয়েছি, যার বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এমন রেকর্ড এর আগে নেই। আমরা চাই উন্নয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী সরকার। বিরোধীরা চায় লুটপাট চালানোর জন্য দুর্বল সরকার। আমাদের সরকারকেই ভারতবাসী চাইছে। আমরাই আবার ক্ষমতায় আসব। এটা সাধারণ মানুষের চাহিদা। সুতরাং বিরোধীদের সব উদ্যোগই ব্যর্থ হবে। '
'যে সব দল আজীবন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েই রাজনীতি করেছে, হঠাৎ দেখা যাচ্ছে তারা বন্ধু হয়েছে। কোনো আদর্শ নয়, নীতি নয়। সবাই দল বেঁধেছে একজন মানুষের বিরুদ্ধে। সকলের লক্ষ্য একটাই। মোদিকে হারাও। ২০১৪ সালে বলেছিলাম, আমি জনগণের প্রধান সেবক। আমি দেশের চৌকিদার। বিরোধীরা এখন বলছে চৌকিদারই চোর? যারা রক্ষক হবেন, তারাই হবে সবথেকে বড় চোর? দেশবাসীকে এসব বলে বিরোধীদের সরকার গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। দেশবাসী খুব ভালো করেই জানে এরা আসলে পরিবারতন্ত্র আর আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে দেশের সম্পদ লুট করতে আগ্রহী। তাই চৌকিদারকে সকলের এত ভয়। আমি দিনরাত পরিশ্রম করছি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। আমরাই আনব নতুন ভারত। '
প্রসঙ্গত, ২০১৯ -এর ভারতে লোকসভা নির্বাচনে (জাতীয় নির্বাচন) অন্যান্য ইস্যুগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ইস্যু কৃষকই হতে চলেছে তা রাহুলের কংগ্রেস, মমতার মহাজোট ও ক্ষমতাসীন মোদির ভাষণে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এক কথায় এবারের নির্বাচন কৃষকের কাণ্ডারি হয়ে বৈতরণী পার হতে চাইছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
ভিএস/এমএইচএম