শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হাজরা থেকে শুরু হয় মোমবাতি মিছিল। শেষ হয় মধ্য কলকাতার ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
মোমবাতি মিছিলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে রাজ্যের বামদলগুলো সিপিআইএম চেয়াম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে মিছিল বের করে। সেই মিছিলেও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত নজরে পড়ে। অবশ্য মমতার মিছিল মৌন হলেও বামেদের মিছিলে ছিলো স্লোগানমুখর। মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামেন তারা।
সেনা জওয়ানদের ওপর সন্তাসী হামলার প্রতিবাদের রাজ্যে এদিন মিছিল বের করেছে বিজেপি ও কংগ্রেসও।
এর আগে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর জন্য সরকারের যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
দিল্লিতে চলা শনিবাবেরর ভারতের সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি এদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
গুলাম নবি জানান, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপের পাশে থাকবে বিরোধীরা। সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকালই রাহুল গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে পাশে বসিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের পাশে আছে বলে জানিয়েছিলেন।
সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, গুলাম নবি আজাদ, কেসি বেণুগোপাল ও আনন্দ শর্মা। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ওব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য নেতারা।
পশ্চিমবঙ্গের দুই তরুণ সেনা, হাওড়ার বাবলু সাঁতরা, নদীয়ার সুদীপ বিশ্বাসের শবদেহ বিমানে করে কলকাতায় আসে শনিবার। সেখানে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়োকে কাঁধে কফিন বহন করতে দেখা যায়। রাষ্ট্রীয় মর্য়দায় তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
ভিএস/এমজেএফ