এক জনসভায় মোদী বলেন, ভারতের রাজনীতিতে চার ধরনের রাজনৈতিক দল রয়েছে। 'নামপন্থি', 'বামপন্থি', 'দমনপন্থি' এবং 'বিকাশপন্থি'।
এরমধ্যে তিনি আবশ্যিকভাবে বিজেপিকে 'বিকাশপন্থি' বলেন। তৃণমূল ও কংগ্রেসের কপালে জুটেছে যথাক্রমে 'দমনপন্থি' ও 'নামপন্থি' তকমা।
একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে দমনমূলক রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে দিদি প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মোদী।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সভায় নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্গাপূজায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ করেছিলেন। এদিন তার জবাব দেন মমতা। তিনি বলেন, মা দুর্গা আগে না নরেন্দ্র মোদী আগে? মা কালী আগে না অমিত শাহ আগে? তিনি বলেন, এদের মগজে মরুভূমি।
শ্রীরামপুরের সভায় উপস্থিত জনগণের উৎসাহ দেখে মোদী বলেন, আপনাদের উৎসাহ দেখে দিদির গরম বেড়ে যাচ্ছে। চুপচাপ কমলে অর্থাৎ, পদ্মফুলে ছাপ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মোদী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের চল্লিশজন বিধায়ক গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক উত্তাপ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাগদার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ভারতে ৭০ বছরে যা হয়নি, রাজ্যে আট বছরের কম সময়ে তা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অনেকেই বলছেন গত লোকসভা নির্বাচনগুলি থেকে অনেক বেশি কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখছেন প্রধান দুই প্রতিপক্ষ। বাকি কয়েক দফা নির্বাচনেও এই কটাক্ষ ও পাল্টা কটাক্ষ বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
ভিএস/এএ