তবে ঘূর্ণিঝড়টির গতি এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। সেজন্য অপক্ষো করতে হবে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এদিন সকাল থেকে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কারণ এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে অল্প হলেও জলীয় বাষ্প প্রবেশে করতে শুরু করেছে। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, রাজ্যে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে রয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ। ফলে সকাল থেকেই গরমে হাঁসফাঁস করার মতো পরিস্থিতি খুব একটা হচ্ছে না। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যেকোনো সময় বদলাতে পারে পরিস্থিতি।
শেষ খবর পর্যন্ত চেন্নাই উপকূল থেকে প্রায় ৮৭০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় এটি ওড়িষা উপকূলের দিকে মোড় নেবে। এর প্রভাবে ওই দিনই বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিও হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বৃহস্পতিবরা (০২ মে) পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার (০৩ মে) রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। ফণীর প্রভাবে এ ক’দিন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গর মৎস্যজীবীদের এ ক’দিন সমুদ্রে পাড়ি না দেওয়ার জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। যারা রয়েছেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ‘সুখোই’ বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
ভিএস/জেডএস