শুক্রবার (৩ মে) রাত পর্যন্ত ফণীর কারণে উড়িষ্যায় ছয়জন ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে মধ্যরাতের পর সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
একবারে পশ্চিমপাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে। কলকাতায় গতি কমে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগ থাকবে। স্থানীয় সময় রাত ১২টায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতে বিগত দুই দশকের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়।
রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরে ২৩ হাজার ৬৮০, উত্তর চব্বিশ পরগনায়, ১৩ হাজার ৯৪৪, প্রপার কলকাতায় ১৮২১ জনসহ বিপদসঙ্কুল এলাকাগুলো মিলিয়ে রাজ্যের মোট আড়াই লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ভোরের আগে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় আঘাত হানবে ফণী। বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাও।
এদিকে ফণী মোকাবিলার সতকর্তা হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দর শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে অন্তত ২০০টি ফ্লাইট।
একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করা প্রায় ১৪৭টি ট্রেনের যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে। রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি স্থগিত করেছেন নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা।
ঝড় মোকাবিলায় খোলা আছে রাজ্যের প্রশাসন ভবন নবান্ন। রাতেই কলকাতায়ে বন্ধ করা হয়েছে সব শপিংমল। শহরের সব উঁচু বিল্ডিংগুলো থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে বাসিন্দাদের। বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
ভিএস/এসএইচএস/এএ