এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারতে সাত দফায় নির্বাচন সংগঠিত হয়েছে। এছাড়া প্রায় টানা তিন মাস ধরে চলেছে নির্বাচনী প্রচারণা।
জনমত সমীক্ষা বা বুথ ফেরত জরিপ বলেছে, দ্বিতীয়বারের মতো জিততে চলেছেন ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
ওই জরিপ আদৌ কি মিলবে, নাকি বিরোধীদল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ফেডারেল ফ্রন্ট ক্ষমতায় আসবে তা বোঝা যাবে ২৩ মে সন্ধ্যায়।
ভারতের মোট ৫৪৩ লোকসভা আসনের মধ্যে ২৭৩টি আসনে যে দল সংখ্যা গরিষ্ঠ সমথর্ন পাবে তারাই সরকার গঠন করতে পারবে।
কিন্তু যদি এমন হয় কোনোও দলই ২৭৩টি আসন পেলো না। তবে সেই দল তার সহযোগী দলের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য দাবি করতে পারে।
স্বাভাবিক নিয়মে ভোটের ফলাফলে যে দল সব চেয়ে বেশি আসন পাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে সরকার গঠন করার জন্য আহ্বান জানাবেন।
এদিকে, ২৭৩ আসনে জয় পাওয়া দলটি জোটের সাহায্য ছাড়াই সরকার গঠন করবে। আর যদি কোনো দল ২৭৩ আসনে নির্বাচিত হতে না পারে তবে তারা অন্য দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে ওই দলকে পরবর্তীতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোকসভায় ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে।
ভারতে এবারের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ৫৮টি ভোট কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় গণনা শুরু হবে। ভোট গণনার জন্য সরকারি স্কুল কলেজ ও সরকারি দফতর ব্যবহার করা হবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের ভোট গণনার জন্য ২৩টি জেলার ৫৮টি ভোট গণনা কেন্দ্রে মোট ৩৭৯টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও ধারণ করা হবে।
এদিকে ভোট গ্রহণের পর ইভিএম মেশিন গুলো রাখা হয়েছে সবোর্চ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। যার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ভোট গণনার জন্য সকালে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে ইভিএম মেশিন গুলো আনা হবে গণনা কেন্দ্রে। এ সময় গণনা কেন্দ্রে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকসহ প্রত্যেক প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধি থাকবে। তাদের সামনেই খোলা হবে ইভিএম মেশিন। ভোট গণনার পর প্রতিটি বুথের ফল ঘোষণা হবে। এ ফলাফল রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকেই প্রতি এক ঘণ্টা অথবা দুই ঘণ্টা পরপর ভোটের ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
এবার ২৫ হাজার কর্মী ভোট গণনা কাজে যুক্ত থাকবেন। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলোকে বুধবার (২২ মে) থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ভোট গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভোট গণনার সময় কোনো কর্মী মোবাইল ফোন নিয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না।
অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ভোট গণনায় বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
ভিএস/আরআইএস/