বুধবার (০৫ জুন) দলের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে নায়িকাকে বরণ করে নেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্য থেকে অন্তত কয়েক হাজার তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থক আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন।
তবে এ দিনের চমক ছিলেন অঞ্জু ঘোষ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ বলেন, উনি (অঞ্জু) বহু দিন ধরেই যোগ দেওয়ার কথা বলছিলেন। আজ তা সম্ভব হয়েছে। আজ থেকে তিনি বিজেপির সদস্য হিসাবে আজ নাম লেখালেন। তাকে পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সভাপতি বলেন, জুন মাসজুড়েই বিভিন্ন দল থেকে আসা কর্মীদের যোগদানের ‘উৎসব’ চলবে বিজেপিতে। আর জুলাই মাস থেকে শুরু হবে নতুন করে সদস্য পদ দেওয়ার কর্মসূচি।
এদিকে বিজেপিতে অঞ্জু ঘোষের যোগদানের পরপরই প্রশ্ন উঠেছে তিনি কোন দেশের নাগরিক? ভারতীয় না বাংলাদেশি?
তবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে অঞ্জু ঘোষ নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলেই দাবি করেন। তিনি বলেন, তার বাবা-মা ভারতে মারা চলে এসেছিলেন। এমনকি কলকাতাতে তার পৈতৃক বাড়িও রয়েছে। এ বিষয়ে তার বৈধ কাগজপত্রও আছে।
বাংলাদেশি অভিনেত্রী হয়েও কি করে ভারতের রাজনৈতিক দলে নাম লেখালেন অঞ্জু ঘোষ- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর অঞ্জু ঘোষ নিজেই দেবেন।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌস ও নূর অংশ নিয়েছিলেন। তার তাতে সবচেয়ে বড় বিরোধিতা করে পথে নেমেছিল এই ভারতীয় জনতা পার্টি।
বাংলাদেশি অভিনেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রসঙ্গও টেনেছিলেন তারা। ফলে অঞ্জু ঘোষের বিজেপিতে যোগদানের পরপরই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে এই ইস্যুতেও মাঠ গরম করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
অঞ্জু ঘোষ প্রায় দুই দশক ধরে কলকাতার অদূরে সল্টলেক এলাকায় বসবাস করছেন। কলকাতার চিৎপুর যাত্রা পাড়ায় নিয়মিত যাত্রাপালাতেও অভিনয় করতেন অভিনেত্রী।
যদিও সেখানেও প্রায় অনেক দিন থেকেই তিনি যাচ্ছেন না। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এমএ/