এআই ৭৪৩ ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৪০মিনিটে যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও তা কলকাতার মাটি ছাড়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। এ তিন ঘণ্টা সস্ত্রীক মন্ত্রী ও তার ১৮ জন সঙ্গীকে বসে থাকতে হয় প্লেনের ভেতরেই।
প্রথমবার থামার কারণ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বলা হয়, সামান্য সফটওয়্যারের সমস্যা, এখনই ছাড়বে। এর এক ঘণ্টা পর ১০টা ৪০ মিনিটে প্লেন রানওয়েতে কিছুটা গড়িয়ে ফের থেমে যায়। সে সময় জানানো হয়, ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা আছে। পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীর প্লেন উড়তে দেওয়া যাচ্ছে না।
ততক্ষণে দু’ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। ভিভিআইপি জেনেও মন্ত্রীর জন্য কোনো নাশতা-পানির বন্দোবস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে অন্য প্লেনে যাবেন বলে পাইলটকে জানান তথ্যমন্ত্রী। তাবে, তাতে বাধ সাধে সঙ্গের ১৮ যাত্রীর বিষয়টি। ওই রুটে অন্য কোনো প্লেনে এতগুলো সিট ফাঁকা নেই। ফলে, বাধ্য হয়ে হয়েই টানা তিন ঘণ্টা প্লেনের ভেতর বসে থাকতে হয় সবাইকে।
কলকাতার নিয়ম অনুযায়ী, প্লেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রী সকাল ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এরপর থেকে দুপুর ১টা ৪০মিনিট অর্থাৎ বিমান আগরতলায় অবতরণ না করা পর্যন্ত অভুক্ত থাকতে হয়েছে মন্ত্রীসহ সব যাত্রীদের।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্র জানায়, সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ ১৩৬ জন যাত্রী ও ক্রেবিন ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগরতলার উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, মৌমাছি বিভ্রাটের কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে সেটি।
এদিন সকালে প্লেনটি যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে রানওয়ের দিকে যাচ্ছিল। তখনই একঝাঁক মৌমাছি এর সামনে ঘিরে ধরে। প্লেনের উইন্ডস্ক্রিনে বসে পড়ে মৌমাছির দল। বিষয়টি পাইলটের নজরে পড়তেই সেখানে প্লেন দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। কারণ, প্লেন চলার সময় ইঞ্জিনের ভেতরে মৌমাছি ঢুকলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
প্লেনের যাত্রীরাও জানিয়েছেন, বাইরে অনেক মৌমাছি উড়তে দেখেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
ভিএস/একে