বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমি যখনই দিল্লি আসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি। এর আগে যখন এসেছিলাম, তখন রাজনাথ সিং দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অন্যতম কারণ, পশ্চিমবঙ্গে অনেক বর্ডার (সীমান্ত) আছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ ও নেপাল আছে, তেমনি প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, বিহারের বর্ডার আছে। সে দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কিছু কথা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।
এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) ইস্যু প্রসঙ্গে মমতা বলেন, এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখতে বলেছি। কারণ, আসামে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে, তাতে অনেক বাংলাভাষী মানুষ আছে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গের অনেকে ভয় পাচ্ছে। আমি জানিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির প্রয়োজন নেই। একই কথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও জানিয়েছিলেন, যেন ওই রাজ্যেও এনআরসি না হয়।
‘পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন। এর সঙ্গে বলেছি, যারা আসামে সত্যিকারের নাগরিক, তাদের নামগুলো দয়া করে তালিকায় তুলে দিতে। কারণ, তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টা দেখবেন। আর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে আমার কী স্ট্যান্ড (অবস্থান), সেটা তো আপনারা জানেনই। ’
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এলেও তখন থেকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ সামলেছেন অমিত শাহ। তিনি সরকারি কোনও পদে ছিলেন না। ফলে, মমতা-অমিত শাহর সম্পর্ক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেই এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একে অপরকে নিয়মিতই আক্রমণ করতে দেখা গেছে দু’জনকে। কিন্তু, এবার অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকায়। আর, সরকারি কাজেই তার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
ভিএস/একে