ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

দুশ্চিন্তা জিইয়ে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখলো বিজেপি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
দুশ্চিন্তা জিইয়ে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখলো বিজেপি!

কলকাতা: ভারতের অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কতটা পড়েছে? পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪৫ বছরের মধ্যে এ সময়টাই ভারতে বেড়েছে বেকারত্ব। এছাড়া কৃষক আত্মহত্যা কিংবা এবারের গ্রীষ্মকালে চরম পানিসঙ্কট অথবা ব্যাংক কেলেঙ্কারি। এ ধরনের ইস্যুগুলোয় ভারতের মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে আদৌ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কি? এ প্রশ্নের উত্তরগুলো শাসক ও বিরোধীদলগুলো খুজছিল এ দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সম্পূর্ণ ফলপ্রকাশ হয়নি। তা সত্ত্বেও ফলাফলের নিরিখে বিজেপিই সরকার গড়বে ওই দুই রাজ্যে।

মহারাষ্ট্রের নিরিখে ফের ক্ষমতায় এলো বিজেপি-শিবসেনা জোট। ওই রাজ্যে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৬১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি-শিবসেনা জোট (বিজেপি ১০৫-শিবসেনা ৫৬)। তবে এ বাজারে বিজেপি আশা করেছিল একাই সরকার গঠন করবে, কিন্তু তা সম্ভব হলো না।

ফলে শেষ খবর অব্দী মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছে শিবসেনা। অপরদিকে, কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) জোট ১০২ ও অন্যান্যরা ২৫টি আসনের মধ্যে এগিয়ে।

তবে মহারাষ্ট্রে কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিজেপির কাছে চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হরিয়ানা। ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০, কংগ্রেস ৩১টি ও অন্যান্যরা ১৯টিতে এগিয়ে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও বিশাল অঙ্কের মার্জিন দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপিও হরিয়ানা নিয়ে সেরকমই আশা রেখেছিল।  

এদিন সকালে হরিয়ানায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গণনা শুরু হতেই কার্যত কেঁপে ওঠে কেন্দ্রীয় বিজেপি। বেলা বাড়তেই দেখা যায়, কংগ্রেস ও বিজেপি সমসংখ্যক আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে তারপর থেকে এগিয়ে বিজেপি।

তবে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিরোধীদের হেয় করে বিজেপি যে বিশাল মার্জিন নিয়ে ভারত দখল করেছিল। কয়েকমাস না যেতেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার সেই ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাতের ঘুম নিশ্চিতভাবে কেড়ে নেবে। কারণ কয়েকমাস পরই দিল্লি, বিহার, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং বিরোধীরা পাবে অনেকটাই বাড়তি মনোবল। সেই মনোবলের আভাস মিলেছে আজই।

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো বিষয় ওই দুই রাজ্যবাসী পেলো না। গুরুত্ব পেলো সেই আঞ্চলিক সমস্যাই। কর্মসংস্থান, আর্থিক অনটন, মন্দার মতো বিষয়গুলো দিয়ে ৩৭০ ধারা বা পাকিস্তানবিরোধী হাওয়া দিয়ে চাপা দিতে পারলো না বিজেপি। তবে এ বাজারেও মোদি ম্যাজিক এখন কাজ করছে তা বলা যেতেই পারে!

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।