জাতীয় পরিবেশ আদালতের চাপে পড়ে কলকাতা শহরের বাতাসের দূষণ কমানোর উদ্যোগ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এক বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরকে নির্দেশ দেন, বছর শেষে যেন কলকাতায় এরকম একটি গাড়িও যাতে চলাচল না করে।
এই ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কলকাতা পুলিশকেও নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি দপ্তরকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ১৫ বছরের পুরোনো বাণিজ্যিক গাড়ি ও ভাড়ার গাড়ি ব্যবহার না করে। একই নির্দেশ হাওড়ার জন্যও দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশ কিছু বিভাগের সরকারি দপ্তরে ১৫ বছরের বেশি পুরোনো কয়েক হাজার গাড়ি রয়েছে। এছাড়া শহরে ১৫ বছরের পুরোনা অন্তত ২৫ হাজার বাণিজ্যিক এমন গাড়ি রয়েছে; যেগুলো নিয়মিত ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের সহযোগিতায় ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকায় সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। শুধু গত সপ্তাহেই চারদিন অভিযান চালিয়ে এমন ২২টি গাড়ি আটক করেছে কলকাতাপুলিশ।
বছরে সরকারি খাতা-কলমে গড়ে প্রায় সাত হাজার (১৫ বছরের পুরোনো বাণিজ্যিক গাড়ি) বাতিল হচ্ছে রাজ্যের কলকাতা ও হাওড়া জেলায়। সরকারি খাতায় বাতিল হলেও ওই দুই শহরের পথে সেগুলোর চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কলকাতা ও হাওড়া জেলায় বায়ুদূষণ মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে জরিমানা দিতে হয়েছে দুইবার। এই বিষয়টি থেকে শিক্ষা নিয়েই রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
ভিএস/এমএমইউ