বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) থেকে নয়া দিল্লিতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ রুপিতে। একারণে সরকার নাফেডের (ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) মাধ্যমে সস্তায় পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রতিটি রাজ্যে যেমন সরকারিভাবে পেঁয়াজ মজুদে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। পাশাপাশি, পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে ভারতের বাজারে জোগান বাড়াতে আফগানিস্তান, মিশর, ইরান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশটির কোথাও কেউ বেসরকারিভাবে যেন পেঁয়াজ মজুদ না করতে পারে, তার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ মজুদের নির্দিষ্ট পরিমাণ। খুচরা ব্যবসায়ীরা একজন ১০ মেট্রিক টন ও পাইকারি বিক্রেতার ক্ষেত্রে ৫০ মেট্রিক টনের বেশি কেউ পেঁয়াজ মজুদ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেন, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। তার সঙ্গে বৃষ্টির জন্যও নষ্ট হয়েছে। পানিতে ভিজলে পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়, সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নষ্ট হয়েছে। তাই, বাজারে পেঁয়াজ কম। তবে, চলতি নভেম্বর মাসের শেষদিকে এর দাম কমে যাবে।
নাফেডের মাধ্যমে সরকার আগে থেকেই পেঁয়াজ সংগ্রহ করছে। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দিল্লিতে সরকারি স্টল (সফল ও মাদার ডেয়ারি) থেকে ২৪ রুপি ৯০ পয়সা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গণবণ্টন সচিব অবিনাশ কে শ্রীবাস্তব।
তবে, মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কম হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন কমই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই রপ্তানি বন্ধ ও আমদানির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি মজুদ রুখতে রাজ্যগুলোকে বাড়তি উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এদিনও কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের খুচরা বাজারে ৭০ রুপি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
ভিএস/একে