কলকাতার আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ১২০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যের উপকূলে। তারপর তা ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের দিকে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের দিকে চলে যেতে পারে। কিন্তু তা হলো না। ফলে আশঙ্কাই সত্যির দিকে। বুলবুলের অভিমুখ ঘুরে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
ফলে প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। তাই ওই অঞ্চলে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বুলবুলের জেরে রাজ্যের জেলাগুলোতে ঝড় ও অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এরইমধ্যে শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।
উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, শক্তি বাড়িয়ে ১২০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে শুক্রবার দিবাগত রাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে বুলবুল। এরজেরে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতাসহ রাজ্যের দুই ২৪পরগনা ও মেদিনীপুর জেলায়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুলবুলের প্রভাবে সন্ধ্যা থেকেই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলোতে।
এরইমধ্যে দীঘায় সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় টিম, সিভিল ডিফেন্সের লোকজন সমুদ্র সৈকত ও উপকূলে টহল দিতে শুরু করেছেন। সমুদ্রে নামা, সৈকতে ঘোরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের। জেলার সব ফেরি সার্ভিসের ওপর নজরদারি চলছে।
যেসব এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বুলবুল, ওইসব এলাকায় খাবার ও পানি মজুদ করা শুরু হয়েছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। প্রত্যেকটি ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে ও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
ভিএস/জেডএস