স্থলভাগে রাতভর বুলবুলের আঘাতে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
ক্রমশ দুর্বল হয়ে এলেও রোববারও দুই পরগনা এবং পড়শি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অংশে বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রোববার বুলবুলের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিমি হতে পারে। সারাদিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারের মতোই রোববারও উত্তাল থাকবে সমুদ্র।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জনজীবনেও দেখা দিয়েছে দুভোর্গ। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুত সরবারহ বন্ধ রয়েছে।
প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে, রাস্তা ও কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও কয়েক লাখ লোককে বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝড়ো আবহাওয়ায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কলকাতার সব ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। রোববারও এই অবস্থা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মাছ ধরার সব ট্রলার ও নৌকা নিয়ে জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই ঝড়ের তাণ্ডবে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ১০ নভেম্বর ২০১৯
এসআইএস