রাজ্য সরকারের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। উপর থেকে ছবি তুললে স্পষ্ট বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতির গোটা চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টা সম্পন্ন করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে, এরই মধ্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের রোডম্যাপ ঠিক করে ফেলেছেন তিনি।
এদিকে, বুলবুলের দাপটে তছনছ হয়ে গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে গাছপালা, কাঁচা ঘর-বাড়ি। এখনো বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। ওইসব এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে বুলবুল। উপড়ে ফেলেছে মোবাইল টাওয়ারও।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি দ্বীপ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, জয়নগর, কুলতলি ও মথুরাপুর-২ মাইলের পর মাইল এলাকায় জনজীবনের অস্তিত্ব ছিল না। কারণ, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
রোববার সকাল থেকেই রাজ্য বিপদমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে, এখন পর্যন্ত ঝড়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, গোটা বিষয়ের ওপর নজর রেখেছি। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ নয়, ঝড় ঢোকার সময় পূর্ব মেদিনীপুরের রামগড়, খেজুরি, কাঁথির বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব পড়েছে এমন সাতটি জেলার প্রশাসক ও প্রধান সচিবরা সারারাত জেগে পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছিলেন। ঝড়ে যেসব জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেসব জেলার সরকারি স্কুলগুলো সোমবার (১১ নভেম্বর) বন্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ভিএস/একে