বুলবুলের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য পাকা বাড়িও।
কলকাতার বালিগঞ্জে মারা গেছেন শেখ সোহেল (২৮) নামে এক যুবক। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাটে দুই নারী ঝড়ের হাত থেকে গবাদি পশুর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মারা যান। এছাড়া, উড়িষ্যায় বুলবুল কেড়ে নিয়েছে আরও একজনের প্রাণ।
রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে এতথ্য জানা গেছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিবঙ্গে তিনজনের মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক বলা হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে দুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর জন্য বহু মানুষের মৃত্যু ঠেকানো গেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতি হারিয়েছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে রাজ্য। তবে, রোববার সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায়। সকাল থেকে মাঝেমধ্যেই হালকা ঝড়ো বাতাস লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, রোববার (১০ নভেম্বর) ঝড়ের ‘আফটার শক’ চলছে অর্থাৎ ঝড় চলে যাওয়ার পর কিছুটা প্রভাব থাকবে দিনভর। সে কারণে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে শনিবার (৯ নভেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন। আবার সকাল থেকেই রাজ্যের পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বিপর্যস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তদারকি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমনিতেই রোববার কলকাতায় ছুটির দিন। তাই, রাস্তায় লোকজনও কম। তবে, কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিমের নেতৃত্বে ঝড়ে পড়া গাছ সাফ করে রাজপথ ফাঁকা করার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। একজন ছাড়া কলকাতায় আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততক্ষণ নবান্নেই থাকবেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়ের যেকোনো ক্ষতিতে সবার পাশে থাকবে সরকার। যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে, সোমবার (১১ নভেম্বর) সেখানকার স্কুল ছুটি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ভিএস/একে