কলকাতায় ২০১১ সালে বাংলাদেশ বইমেলার পথচলা শুরু। সুচনালগ্নে বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালার ঘরে।
৯ম বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজক হিসেবে ছিল ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’। সহযোগিতায় ছিল ‘বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’ ও মূল ব্যবস্থাপনায় ছিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস। ’ প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সহায়তা ছিল কলকাতার ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র।
এবারে মেলায় ৬০টি স্টলে সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে মোট ৮০টি বাংলাদেশের প্রকাশনা ৩০ হাজারের বেশি শিরোনামের বই কলকাতার পাঠকদের কাছে হাজির করেছিল। বঙ্গবন্ধু, হুমায়ূন আহমেদ কিংবা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মোস্তাফা জব্বারের পাশাপাশি নতুন কবি সাহিত্যিকদের বইও ভালোই বিক্রি হয়েছে।
এবারের বাজার কেমন এই প্রশ্নে, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, বাজার কমবেশী ভালো। এবছরও ভালোই সাড়া পেয়েছি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শুক্র-শনি-রোববার মেলা জমেনি। তবে আমরা মনে করি কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা। এবং বলতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের সঙ্গে উদীয়মান লেখকদেরও চিনতে পারাটাই উদ্দেশ্য। সে কারণেই কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা।
১ নভেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, এমপি। রোববার (১০ নভেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রধান তৌফিক ও কমার্স শাখার প্রথম সচিব কমার্স শামসুল আরিফ, কলকাতার সাংবাদিক দেবাশিষ ভট্টাচার্য ও আশিষ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক, ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক ইমানুল হকসহ বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
ভিএস/এমএইচএম