মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে পাহাড় সফরে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে সবধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি টিম কাজ করছে। উড়িষ্যাতে গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ছয়টি টিম। আরও ১৮টি টিম পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা এলাকাগুলো। অঞ্চলগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ক্ষতি হয়েছে নদীর তীরবর্তী হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাটও। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, রামনগর, খেজুরি ও নন্দীগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ছিল পশ্চিমবঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মুখ্যমন্ত্রী তার কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার কাজ, ত্রাণবণ্টন ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তদারকি করেন।
জানা গেছে, ঝড়ে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ত্রাণের কাজে তদারকি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আরও কোনো প্রাণহানি ঘটেছে কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
ভিএস/একে