এনআরসি বিরোধী হাওয়া তুলতে রাজ্যে মমতা যে একাই একশ, এ উপনির্বাচনের মাধ্যমে তা আবার প্রমাণ হলো।
হারানো জনপ্রিয়তা যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আবারও বাড়ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
টুইটারে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। ব্যক্তিগত টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফলোয়ার যেখানে ৩৬ লাখের বেশি, সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফলোয়ারের সংখ্যা মাত্র এক লাখ ছয় হাজার।
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার্স যেখানে ৯৭ হাজার ৮০০ জন, সেখানে রাজ্য বিজেপির আছে মাত্র ৬৭ হাজার ১০০ জন। এক সময়ের শাসকদল সিপিএমের অবস্থা আরও করুণ। ইউটিউবে তাদের আছে মাত্র ১৯ হাজার ১০০ জন সাবস্ক্রাইবার। অপরদিকে রাজ্য কংগ্রেসের এ ধরনের কোনো ইউটিউব চ্যানেলই নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিছিয়ে থাকার এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো অনুষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার হয়। অপরদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ রাজ্যের প্রভাবশালী নেতাদের বহু কর্মসূচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসেনা।
বিষয়টি স্বীকার করে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা ঠিক যে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক পিছিয়ে। কারণ তৃণমূলের মতো আমরা সাধারন মানুষের কোটি কোটি তছরুপের অর্থ এসব বিষয়ে ব্যয় করি না।
তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এ প্রচার মাধ্যমকে আরও বেশি সক্রিয় করা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতার ঊর্ধবমুখী চিত্রের কারণ হিসেবে মমতার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়কে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছে নাড়ির টান। তাই রাজ্যবাসীর কাছে মমতার গ্রহণযোগ্যতাই এখন সর্বাধিক।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। তাদের সাময়িক মেনে নিলেও পশ্চিম বাংলার মানুষ বেশিদিন তাদের ঔদ্ধত্য মেনে নিতে পারেননি। তাই উপনির্বাচনের মতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৃণমূল এগিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
ভিএস/এবি