ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা

কলকাতা: জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রতীকী উড়োজাহাজ অবতরণের মাধ্যমে শুরু হওয়া জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান অনুসরণ করে দিবসটি উদযাপন করলো কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।

'বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি দেখায় কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। কলকাতায় উপস্থিত দর্শকদের সামনে দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুর হয়।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন উপ-দূতাবাসের প্রেস শাখার প্রথম সচিব মো. মোফাকখারুল ইকবাল ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত তৎকালীন আকাশবাণীর সংবাদকর্মী পঙ্কজ সাহা।

পঙ্কজ সাহাপঙ্কজ সাহা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিল্লি হয়ে কলকাতার জনগণের সঙ্গে দেখা করার জন্য দমদম এয়ারপোর্টে নামবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দমদম এয়ারপোর্টে আসার পর ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্সের প্লেন থেকে বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল কলকাতায় নামবো। কিন্তু এখন আমার প্রবল ইচ্ছা, আগে আমার দেশের মানুষের সঙ্গে দেখা করবো। তবে খুব তাড়াতাড়ি আমি কলকাতায় আসবো। ’ তবে বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছিলেন ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি গড়ের মাঠে ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়ে।

সভাপতির বক্তবে প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিবসটি বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭২-এর এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন করে।

‘যার নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, সেই জাতির পিতা তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। কাজেই ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের ফিরে আসার মধ্যেই নিহিত ছিল স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা। ’

উপ-দূতাবাস প্রধান আরও বলেন, পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন এবং বঙ্গবন্ধু পিআই-এর একটি বিশেষ প্লেনে করে লন্ডনে পৌঁছান। ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার আগে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তথা ভারতবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, যাদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আজ থেকে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসও উদযাপন করবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।