প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফর করবেন, এটি আগেই জানা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফর ঠেকাতে এমন বিক্ষোভের নজির রাজ্যে নেই।
আর এর মাঝেই অতিরিক্ত প্রশাসনিক তত্পরতার মধ্যে নরেন্দ্র মোদীকে পৌঁছতে হলো রাজভবনে। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে আগেই পৌঁছে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ইতোমধ্যে তিনটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন প্রধানমনান্ত্রী মোদী। বিমানবন্দরের পুরাতন ভবনে কারেন্সি হাউস উদ্বোধন করে হেলিকপ্টারে সোজা নামেন রাজভবনে।
সেখান থেকে মিলিনিয়াম পার্কে, হাওড়া ব্রিজে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড উদ্বোধন করে, বেলুড় মঠ হয়ে ফিরবেন রাজভবনে, সেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
রাজভবন থেকে পরদিন অর্থাৎ রোববার (১২ জানুয়ারি) কলকাতা বন্দরের ১৫০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একই মঞ্চে থাকবেন মমতাও।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরকে কেন্দ্র করে শনিবার সব রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো এক হয়ে স্লোগান তুলছে ‘গো ব্যাক মোদী’। পুর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সমবেত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবীন্দ্রসদন এলাকায় সমবেত হওয়ার সময় কারও হাতে কোনো দলীয় পতাকা দেখা যায়নি। ছিল বিভিন্ন মনীষী ও ভারতের পতাকা। বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, এনঅারসি, সিএএ বাতিল করতে হবে এবং গোটা ভারত যখন অস্থিরতার মধ্যে অাছে তখন কোনোভাবেই সরকারি অনুষ্ঠানে কলকাতায় অাসা প্রধানমন্ত্রীর উচিত হয়নি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে রয়েছে ব্যারিকেড ও জলকামান। তবে এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ভিএস/এমএ/