ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কলকাতায়ও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কলকাতায়ও

কলকাতা: বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করা করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে কলকাতায়ও। কারণ বিদেশি নাগরিকদের আসা-যাওয়া হিসেবে ভারতের অন্যান্য শহরের মধ্যে কলকাতা অন্যতম। এছাড়া কলকাতায় সুরিন নাগট নামে ৩২ বছরের এক থাই নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় করোনা নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা হলেও বেড়েছে শহরে।

থাইল্যান্ডের ওই নাগরিক ২১ জানুয়ারি থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তীব্র শ্বাসকষ্টসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মারা যান তিনি। এরপর তার মৃত্যুর সংবাদ জানাজানি হলে হইচই শুরু হয়ে যায় গোটা শহরে।

এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন আশঙ্কায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) সরকারি হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হন চীনের জো হুয়ামিন নামে ২৮ বছরের এক নারী। তার ভর্তির খবর জানার পরও উদ্বেগ ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। হইচই পড়ে স্বাস্থ্য ভবনে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (শিক্ষা) ডা. দেবাশীষ ভট্টাচার্য আইডিতে যান। পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসকরা স্বস্তির কথা শুনিয়ে বলেছেন, ওই নারীর উপসর্গের সঙ্গে করোনার কোনো মিল নেই।

করোনা ভাইরাস নিয়ে শহরের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে। ভিডিও কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যোগ দেন উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার এবং সিকিম রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। নবান্ন সূত্রের খবর, ইতোমধ্যে উত্তর কলকাতার বেলেঘাটার আইডি হাসপাতাল ছাড়াও রাজ্যের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। সরকার সবদিক থেকে প্রস্তুত।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল সীমান্তেও চলছে প্রচার ও কড়া নজরদারি। কেননা, সদ্য চীন থেকে আসা নেপালের নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও নেপালের সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে মমতা সরকার।

বর্তমানে চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে চীনে।

থাই নাগরিক সুরিন নাগট প্রসঙ্গে হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বমি, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর ২১ জানুয়ারি ভর্তি হন হাসপাতালে। অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। শেষদিকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয় তাকে।

এবার তার থুতু পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে ওই নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি-না। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যুতে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা কলকাতায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
ভিএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।