এদিন কলকাতার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গনে বইমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবারের বইমেলার থিম-কান্ট্রি রাশিয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মা সরস্বতীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারের বইমেলা শুরু হোক। বইমেলা নিয়ে অামার ছোটবেলা থেকেই একটা আবেগ অাছে। অামাদের বইমেলা হলো বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য। কারণ এখানে ছোট-বড় সব ধরনের প্রকাশক অংশগ্রহণ করে, ভারতের সব ভাষার বই পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, এবারের মেলায় ৬শ’র মতো স্টল অংশ নিয়েছে। থাকছে সাড়ে চারশ’র বেশি প্রকাশনা সংস্থা ও দুশ’ লিটল ম্যাগাজিনের স্টল।
প্রতিবছরের মতো এবারও এ মেলায় প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, জাপান, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, গুয়েতেমালা, মেক্সিকো, পেরু ও লাতিন আমেরিকার ১১ দেশ মিলিয়ে মোট ২৯টি দেশ অংশ নিচ্ছে।
এবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে বিশ্বভারতীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভবনের অাদলে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশে থেকে অংশ নিয়েছে ৪০টিরও বেশি প্রকাশনী সংস্থা।
সূত্র জানায়, এবারের মেলায় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারিকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আসন্ন জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ২০২১-এর বইমেলা বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করার পরিকল্পনা আছে।
বইমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, নাগাল্যান্ড, অাসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যাসহ ভারতের বেশকিছু রাজ্য জাতীয় পর্যায়ের সাহিত্য সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে।
আয়োজক সংস্থার জানায়, গতবছর প্রায় ২৪ লাখ পুস্তকপ্রেমী এ মেলায় অংশ নেন। সেবারে ২১ কোটি রুপিরও বেশি বই বিক্রি হয়েছিল। এবারের মেলায় আরও বেশি মানুষের আগমন ঘটবে বলে আশাবাদ তাদের।
১৩ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আগামী ৯ ফ্রেব্রুয়ারি। প্রতিদিন স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।
এদিকে মেলা চলাকালেই আগামী ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বসছে সপ্তম কলকাতা সাহিত্য উৎসবের আসর। ৬ তারিখ এর উদ্বোধন করবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
ভিএস/এইচজে