এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে আরও তৎপর হয়েছে ভারত সরকার। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
এরপরও যেন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। ইতোমধ্যে দিল্লি ও হরিয়ানায় করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে ওই দুই রাজ্যের সরকার। সংক্রমণ রুখতে জমায়েত এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দিল্লির পর মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকেও সমস্ত স্কুল, সুইমিংপুল, জিম, প্রেক্ষাগৃহ, পার্ক বন্ধ রাখার জন্য শুক্রবার (১৩ মার্চ) নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
পড়ুন>>ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ওঠা ১০ প্রশ্নের উত্তর
রাজস্থান, বেঙ্গালুরুতেও পরিস্থিতি একই। পাশাপশি করোনা আতঙ্কের জের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার (১৬ মার্চ) থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। শনিবার (১৪ মার্চ) রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে সূচি অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। পাশাপাশি এদিন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা।
এমনকি হোস্টেলও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সমস্ত অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ৩১ মার্চের পর পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করবে কর্তৃপক্ষ। খুব শিগগির রাজ্যের সমস্ত প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে ভারতে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে মাস্ক ও স্যানিটাইজার সুলভ মূল্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে এই নির্দেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এমএ/