নাগরিকরা নিজেদের এক প্রকার গৃহবন্দি করে রেখেছে। ফলে কার্যত কারফিউতে স্তব্ধ গোটা ভারত।
অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩১৫। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে একজন করে মারা গেছেন।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪। গোটা রাজ্যের সব স্কুল কলেজ, রেস্টুরেন্ট, পাব, নাইটক্লাব, বিনোদনপার্ক, তীর্থস্থান, প্রেক্ষাগৃহ, বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে সব দূরপাল্লার ট্রেন। বন্ধ হচ্ছে মেট্রো ও শপিংমল। অর্থাৎ সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ করছে মমতা সরকার। রাজ্যে প্রায় ২১ হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে রাজ্য সরকারের নির্দেশে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, যারা বিদেশ থেকে বা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন, তারা যেন ১৪ দিন বাড়ির বাইরে না বের হন। বলা হয়েছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না।
যে বা যারা করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ অমান্য করবেন, তার বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ মহামারি আইন বলপূর্বক প্রয়োগ করে গৃহবন্দি থাকতেও বাধ্য করবে।
করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ মার্চ ভারতে একদিনে সবচেয়ে বেশি, মোট ৫৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে।
বুধবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত ভারতে ১৫৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ২৫ জন বিদেশি নাগরিক। সরকারি খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গেছেন। অন্যদিকে করোনা সতর্কতায় সারা ভারতে ৭০ হাজার জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
ভিএস/এফএম