মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৪২১ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের।
পরিসংখ্যান এও বলছে, ভারতে প্রথম হাজার আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে ১২ দিন। এরপর আক্রান্ত সংখ্যা মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ের সংখ্যাটা দ্বিগুণ হতে লেগেছিল মাত্র তিনদিন। অর্থাৎ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তীব্র গতি ধারণ করেছে ভাইরাসটি। অবশ্য এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩২৫ জন।
এরইমধ্যে মুম্বাইয়ে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে। এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স মিলে ৫২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে টেস্টে। ফলে ওই হাসাপাতালে যত রোগী ছিলেন, সবার টেস্ট চলছে। অপর হাসপাতালের এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ওই হাসপাতালও একই কারণে সিলগালা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মৃত্যুর পরিসংখ্যান না বড়লেও আক্রান্ত কিন্তু বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এছাড়া এ দিন সকালে কলকাতা পৌর করপোরেশনের মুখ্য স্বাস্থ্যসচিব উপদেষ্টা করোনা আক্রান্ত খবর সামনে এসেছে। পাশাপাশি কলকাতার নীলরতন হাসপাতালের ৬৪ ডাক্তার ও নার্সকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। সবমিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের ফলে কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণের গতি। নাহলে আরও দ্রুত সংক্রামিত হতে পারত এই প্রণাঘাতী ভাইরাস। এ হিসেবে দেশবাসীকে বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
ভিএস/টিএ