সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যার পারাদ্বীপ থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে, বাংলাদেশের খেপুপুরা থেকে ১,২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার দীঘা সমুদ্র থেকে ১,১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও প্রবল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যা নাগাদ দীঘা হয়ে তা বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। তখনই এটি সব থেকে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তারা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এ দুর্যোগের জের শুরু হবে মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকেই রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরসহ হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে। দুপুরের পর থেকেই ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে।
আগামী বুধবার (২০ মে) পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বিকেল বা সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পূর্বাভাস পেয়েই সতর্ক হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিশেষভাবে সতর্ক এনডিআরএফ বা বিপর্য়য় মোকাবিলা বাহিনী। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উড়িষ্যা রাজ্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে পৌঁছেছে ন্যাশনার ডিজার্স্টার ফোর্স (এনডিআরএফ)। পুরী, ভুবনেশ্বর, জাজপুর, ময়ুরভঞ্জসহ একাধিক জায়গায় মোতায়েন এনডিআরএফের ১০টি টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
ভিএস/আরএ