অবশ্য কয়েকদিন আগেই নামাজ স্থগিত করে দিয়েছে আয়োজক খিলাফত কমিটি। খিলাফত কমিটির কলকাতা শাখার সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদ সঈদ বলেন, একেতো রেডজোনের আওতায় থাকা কলকাতায় করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
একই পথে হেঁটেছে নাখোদা মসজিদ, ধর্মতলা ও টালিগঞ্জের টিপু সুলতান মসজিদ। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুল গণি বলেন, এসময়টা বড়ই চ্যালেঞ্জের। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব সব শেষ করে দিয়েছে। এখন মানুষকে একমুঠো খাবার ত্রাণ হিসেবে জোগাড় করতেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আশ্রয়হীন লক্ষাধিক মানুষ। সে কারণে বাড়িতে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের তরফে রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করা হয়েছে।
প্রতিবছর ঈদের দিনে রেড রোডে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েতে পড়া হতো ঈদের নামাজ। ওইসময় শহরের প্রাণকেন্দ্র রেড রোডে বন্ধ থাকতো যান চলাচল। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী এলাকা রেড রোডে থাকতো বিশেষ নজরদারি। যাতে নামাজ চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হয়।
কিন্তু এবারে চিত্রটা পুরোপুরি উল্টো। বিস্তির্ণ এলাকা ধু ধু করছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি গাড়ি চলাফেরা করছে কোনো রকমে। অপরদিকে নাখোদা মসজিদ, ধর্মতলা ও টালিগঞ্জের টিপু সুলতান মসজিদের একই অবস্থা। প্রতিটা মসজিদ ঘিরে কমপক্ষে জমায়েত হতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু এবার সেসব অঞ্চলের চিত্রটা সম্পুর্ণ রেড রোডের মতো। সব মসজিদের গেটগুলো বন্ধ।
তবে এবারে ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত হয়েছিল তাদের নিজস্ব এলাকার ছাদগুলোয়। সেখানেই সকালে পড়ছেন ঈদের নামাজ। চেষ্টা করেছে শারীরিক দূরত্ব মানার। নামাজের পর তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহামারি ও দুর্য়োগ শেষ করে দিল কলকাতাকে। ফলে এ কারণে এবার তাতে তারা বিন্দুমাত্র মনক্ষুণ্ন হননি রেড রোডে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি বলে। সবাই মেনে নিয়েছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
ভিএস/আরবি/