মমতা মনে করেন, যেকোনো সম্পর্ক আগে তিক্ত, পরে মধুর হওয়া ভালো এবং মহাষৌধির দিক থেকে নিমগাছ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই নিমগাছ রোপণ করে পালন করলেন দিনটি।
কলকাতা করপোরেশনে তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে শহরে গাছ পড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। পড়ে যাওয়া গাছ ফের স্থাপন ও সবুজায়নের উদ্যোগী হয়েছেন মমতার সরকার। এ কারণে দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার থেকে সরকারিভাবে ৫০ হাজার চারা ও মাঝারি বয়সের গাছ লাগানোর কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
তবে তারমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার গাছ পুনঃরোপণ করা হবে। কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্ল্যান্ট ট্রি অ্যান্ড সেভ লাইফ’। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন টুইট করে। টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমাদের গ্রহের এ সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি ফের মনে করতে হবে আমাদের। আসুন, আমরা যাদের সঙ্গে পৃথিবী ভাগ করে নিয়েছি সেই উদ্ভিদ এবং প্রাণিদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে যথাসাধ্য চেষ্টা করি। যাতে আসন্ন প্রজন্মের জন্য আমরা আরও উন্নততর গ্রহ রেখে যেতে পারি। ’
এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটি উপলক্ষে গাছ লাগালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সল্টলেকের বিএফ ও সিএফ ব্লকে গাছ লাগান তিনি। এছাড়া সেক্টর ফাইভ ও সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তাতেও ঘুরে গাছ লাগান তিনি। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু ও অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষসহ বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এছাড়া বামেদের ছাত্র সংগঠনগুলো উত্তর ২৪ পরগণা বিভিন্ন অঞ্চলে চারা গাছ রোপণ করেছে।
পরিবেশবিদদের মতে, লকডাউনে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু আম্পানের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে সবুজায়নের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। শুধু কলকাতা শহরেই বড়, মাঝারি, ছোট মিলিয়ে ১৫ হাজারের বেশি গাছ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের নিরিখে প্রায় দু’লাখ ৪০ গাছ নষ্ট হয়েছে।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। সেবার স্লোগান ছিল, ‘একটিই পৃথিবী’। আর এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ‘জীববৈচিত্র’। বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। এবারে করোনা মহামারিতে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/