মন্দির, গির্জা খুললেও এখনই কোনো প্রসাদ বিতরণ হয় করা যাবে না। শরীরে দেওয়া যাবে না কোনো ধরনের শান্তির জল বা হলি ওয়াটার।
এছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ করতে হবে ধর্মীয়স্থানে। প্রবেশ ও প্রস্থানের স্থান হতে হবে পৃথক। ধর্মীয়স্থানে প্রবেশের সময় মুখে থাকতে হবে মাস্ক বা ফেস শিল্ড। না থাকলে কাউকে ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শারীরিক দূরত্ব রেখে পড়তে হবে নামাজ। বাইরে থেকেই মুসল্লিদের আসতে হবে অজু করে। আপাতত মসজিদে বন্ধ রাখা হবে অজুখানা।
তবে কিছু কিছু মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারে ১০ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে। ধর্মীয়স্থানে থার্মাল স্ক্রিনিং ও শরীর জীবাণু মুক্ত করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এসব পরিকল্পনা নিয়েছে ওইসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কমিটি বা ট্রাস্ট।
যেমন কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তাঁরাপীঠৈর মতো মন্দির কমিটিগুলো মন্দিরের পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর বিধিনিষেধ তৈরি করছে। তাদের পরিকল্পনা মাফিক একসঙ্গে অনেককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না মন্দিরে। ছোঁয়া যাবে না বিগ্রহ। আপাতত ফুল চন্দন দিয়ে এখনই দেওয়া যাবে না পুজো। তবে নিয়ম করে মন্দিরে প্রবেশ করে বিগ্রহ দর্শন এবং দূর থেকে সারতে হবে প্রণাম।
অপরদিকে, ওয়াকফ বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদসহ রাজ্যের প্রায় ১১ হাজার মসজিদে যেন শারীরিক দূরত্ব রেখে নামাজ আদায় করা। বন্ধ রাখতে হবে অজুখানা। বাইরে থেকে করে আসতে হবে অজু। এছাড়া এখনই মাজারগুলোতে চড়ানো যাবে না চাদর।
একই ধরনের নিয়ম চালু করা হয়েছে গির্জাগুলোয়। জুতো খুলে গির্জায় ঢুকতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ, সেন্ট থমাস, ব্যান্ডেল চার্চ সহ শহরের সব চার্চেই থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবার ভক্তদের প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় গির্জায় করা হবে জীবাণু মুক্ত বা স্যানিটাইজেশন। একই রকম সুরক্ষা নেওয়া হয়েছে শহরের পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারগুলো ও বৌদ্ধস্থানগুলোতেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
ভিএস/এইচএডি