কলকাতার সাউথ সিটি মল, কোয়েস্ট মল, অ্যাক্রোপলিস মল, বিগ বাজারগুলোয় ঢুকতে গেলে মানতে হবে নানা শর্ত। ক্যারি ব্যাগ, নারীদের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ নিয়ে কেউ মলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এছাড়া আপাতত বন্ধ থাকছে ট্রায়াল রুমগুলো। যেন একজনের ব্যবহার করা পোশাক অন্যকেউ পড়তে না পারে। ফলে সঠিক মাপের পোশাক কিনতে বাড়তি দায়িত্ব নেবে সংশ্লিষ্ট দোকানের কর্মচারীরা। লেনদেনের জন্য বাড়তি গুরত্ব দেওয়া হবে ই-ক্যাশ বা কার্ড। এছাড়া কর্মচারীদের মলগুলোর ফ্লোর, প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বিশেষ বাড়তি নজর দিতে হবে বেবি ফিডিং ও টয়েলটগুলোয়।
অপরদিকে, মলসহ বাইরের রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। যেসব কর্মীরা খাবার পরিবেশন করবেন তাদের বাধ্যতামূলক পড়তে হবে ফেস শিল্ড, মাস্ক, গ্লাভস। পাশাপাশি ক্রেতাদের খাবার অর্ডার দিতে হবে মোবাইলে ই-মেন্যু দেখে বা কর্মচারীদের মুখের কথায়। ব্যবহার করতে হবে ওয়ান টাইম চামচ, থালা, গ্লাস। এখনই চালু করা যাবে না বুফে। পাশাপাশি ওসব রেস্তোরাঁর বিক্রেতা বা মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে হবে বসে না খেয়ে যেন পার্সেল নিয়ে যায় সে বিষয়ে। এছাড়া জোর দিতে হবে হোম ডেলিভারির বিষয়ে। এমনই নির্দেশিকা সরকারিভাবে জারি করা হয়েছে।
এছাড়া কেউ একজন সংক্রমিত হলে প্রতিষ্ঠানটিই ফের ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। এত এত নিয়ম মেনে কলকাতায় মলগুলো খুললেও অনেক রেস্তোরাঁ ৮ জুনের পর বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকছে জিম, সুইমিং পুল, প্রেক্ষাগৃহ, স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
ভিএস/এইচএডি