এদিন থেকে সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে খোলা হয়েছে উপদূতাবাস।
এ বিষয়ে উপদূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান জানায়, সীমিত পরিসরে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ স্টাফ নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, পুরোপুরি খুলল এটা বলা ঠিক হবে না। সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সোমবার থেকে অফিস শুরু হলো। তবে এর আগে লকডাউনের কড়াকড়িতেও প্রয়োজনে আমাদের অফিসে আসতে হয়েছে। ওই সময় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারত থেকে বহু বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়েছে। ফলে তখনও অফিস আমাদের করতে হয়েছে।
তবে আজকে যে অফিস চালু হলো তা সীমিত পরিসরে। এদিন প্রায় সব কর্মকর্তাই আছেন। সচেতন ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস চালু করা হয়েছে। স্টাফ বাদে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এছাড়া এক তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় লকডাউনের মধ্যে আমাদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি বিমানে করে ৩২০ ও বাসে করে ২০৩ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এছাড়া উপদূতাবাসের চিঠি নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ভারত থেকে বাংলাদেশি গেছেন ৬০৬ জন। মোট ১ হাজার ১২৯ জন গেছেন শুধুমাত্র কলকাতাস্থিত বাংলাদেশে উপদূতাবাসের সহযোগিতায়। তবে সীমিত পরিসরে লোকবল নিয়ে কাজ শুরু হওয়ায় গোটা ভারত থেকে কতজন বাংলাদেশি গেছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে এদিন থেকেই ভারতে খুললো সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, রেস্তোরাঁ ও অফিস-কাছারী। তবে এসব খোলার অনুমতি মিললেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে এখনও বন্ধ থাকছে জিম, সুইমিং পুল, প্রেক্ষাগৃহ স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
ভিএস/এএটি