যার জেরে হগ মার্কেটসহ গোটা নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ খবর চাউর হতেই হগ মার্কেটের একের পর এক দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, যতক্ষণ না নিউমার্কেটের ভেতরের অংশে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ততক্ষণ গোটা নিউ মার্কেট খোলা হবে না।
হগ মার্কেট সূত্রে জানা গেছে, ওই পনির ব্যবসায়ীর আচমকা জ্বর আসে। ওই জ্বর নিয়েই অভাবের তাড়নায় দোকান খোলেন। তারপর একপ্রকার টেস্ট করে কোভিড উপসর্গ ধরা পড়ে। ফলে কবে কোভিড উপসর্গ নিয়ে ভুগছিল তা তার পাশের ব্যবসায়ীরা জানতেন না। তাই এ মুহূর্তে তারাও আতঙ্কে ভুগছেন।
অপরদিকে নিউমার্কেট, হগ মার্কেট বা কলকাতা শপিং মল খুললেও মাসতিনেক, এসব এলাকা থেকে কেনাকাটা করতে চান না ক্রেতারা, কারণ 'রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া' ক্রেতাদের মন বুঝতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় দেশজুড়ে। সেখানে প্রায় ৬২ শতাংশ ক্রেতা জানিয়েছেন, তারা আগামী মাসতিনেক যাবেন না কেনাকাটা করতে। তুলনামূলক ছোট শহরগুলোতে এ হার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, দেশটির ৭৮ শতাংশ ক্রেতা জানিয়েছেন, তারা কেনাকাটার মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দেবেন। মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা লকডাউনের পর কেনাকাটা করবেন।
সমীক্ষায় জানা যায়, এ সময় যদিও ক্রেতারা বড় দোকানে যান, তাদের ৭৫ শতাংশ সবার আগে নজর দেবেন স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থায়। ৫৭ শতাংশের মতামত, তারা দোকানের কর্মীদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলতে চান না। অর্থাৎ তাদের এড়িয়ে চলতে চান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/