গত সপ্তাহে এমনটাই জানিয়েছিল ভারতীয় বিশেজ্ঞরা।
এরপরই এদিন ভারতে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা দাঁড়ালো ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৪ জন।
এদিকে গত কয়েকদিন দেশটিতে গড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার ছুঁয়েছে করোনা সংক্রমণ। তারপরও ভারতে এখনো গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনা সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে দিল্লি, মুম্বাইতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে তেমনটাই উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, দেশব্যাপী ধাপে ধাপে চলা লকডাউনের কারণে কমানো গেছে সংক্রমণের গতি। দেশের ৮৩টি জেলায় সংক্রমণের হার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম।
একই দাবি করেছেন ‘আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব। তিনি জানান, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু হু এখনও সেটা নিশ্চিত করেনি। আমাদের দেশে জনপথ পিছু সংক্রমণ খুব কম। ১ শতাংশের নিচে। শহরাঞ্চলে একটু বেশি। আর কন্টেইনমেন্ট এলাকায় আর একটু বেশি। কিন্তু আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণের মধ্যে নেই। গোষ্ঠী সংক্রমণ বা স্টেজ-থ্রি সংক্রমণ, তখন ধরা হবে যখন, বাহকের খোঁজ মিলবে না।
এছাড়া তার দাবি, ‘মাত্র শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশর ক্ষেত্রে বাহকের অস্তিত্ব মেলেনি। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এটা অত্যন্ত নগণ্য। তাই আমরা বলতেই পারি দ্রুত সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকরী। অর্থাৎ দশের অধিকাংশ মানুষ সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। ’
অবশ্য এর আগে রাশিয়া, ব্রাজিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রান্তের নিরিখে অতিক্রম করেছিল ভারত। বর্তমানে রাশিয়ার ৪ লাখ ৯৩ হাজার, ব্রাজিল ৭ লাখ ৭২ হাজার এবং আমেরিকা করোনা সক্রিয় সংখ্যা কুড়ি লাখ ছাড়িয়েছে। এরপরই যুক্তরাজ্যকে টপকে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ১১ ২০২০
ভিএস/এএটি