ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও হানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও হানা

কলকাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে হানা দিয়েছে করোনা। কর্মরত ছয়জন গাড়িচালক ও একজন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তরে করোনা থাবা বসানোয় উদ্বেগ বেড়েছে মমতা সরকারের।

ভবনটিতে শুরু হয়েছে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ। জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে সমস্ত গাড়ি।

ভবনের সব স্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুক্রবার (১২ জুন) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে অন্য উচ্চস্থানীয় কর্তাদের। বাকি আছে আরও রিপোর্ট আসতে।

অপরদিকে, কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফলে বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। নবান্ন সূত্রে খবর, ১ জুন পশ্চিমবঙ্গে কন্টেইনমেন্ট এলাকা ছিল ৮৪৪টি। এদিন তা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মোট ১ হাজার ৮০৬টি। শুধু কলকাতাতেই কন্টেইনমেন্ট এলাকা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ৩৫১ থেকে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০টি।

এছাড়া রাজ্যের জেলাগুলোর নিরিখে সংক্রামক এলাকা অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলো ক’দিন আগেও ছিল গ্রিন জোন। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফেরার পরেই সেখানে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মমতা সরকার।  

শুক্রবার নবান্ন তরফে এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেন, রাজ্যে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ পরিকল্পনাহীনভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো। একই কাজ লকডাউনের আগে করলে এই সমস্যা হতো না। এরজন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের অবিবেচক নীতি।

এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪০ জন। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৯ হাজার ৭৬৯ জন। মৃত ৪৪০ জন। এছাড়া ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন, মৃত্যু ৮ হাজার ৪৯৮ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।