এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিকটকসহ ভারতে জনপ্রিয় চীনের অন্তত ৫২টি অ্যাপ ব্যবহার না করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্কতা জানিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এসব অ্যাপ বন্ধ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাপগুলোর মধ্যে রয়েছে- টিকটক, বিংগো লাইভ, উইবো, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, এক্সজেন্ডার, হ্যালো, লাইক, বিউটি প্লাস, পারফেক্ট ক্রপ, সিএম ব্রাউজার, ভাইরাস ক্লিনার, ফটো ওয়ান্ডার, নিউজডগ, মি-কমিউনিটি, ডিইউ রেকর্ডার, ইউক্যাম মেকআপ, জুম, ক্লিন মাস্টার ইত্যাদি।
ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি সেক্রেটারিয়েটও মনে করছে, এসব অ্যাপ দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এসবের ব্যাপারে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
শুধু ভারতই নয়, এর আগে ভিডিও কলিং অ্যাপ ‘জুম’ নিয়ে আরও কিছু দেশ আপত্তি তুলেছে। ইতোমধ্যেই জার্মানি ও তাইওয়ান এটি নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮জুন) চীনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, এদিন কলকাতার অরাজনৈতিক দল ‘একতা মঞ্চ’ চীন থেকে আমদানি করা খেলনা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়।
অপরদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র পরিষদ’ কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন বউবাজার এলাকায় চীনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে। পরে সীমান্ত সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হাতে নিহত ২০ ভারতীয় সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সড়কের ওপর মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
চীনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে ছাত্র পরিষদের নেতা সৌরভ প্রসাদ বলেন, চীনের সৈন্যদের হাতে ভারতীয় সেনাদের নিহত হওয়ার যথাযথ প্রতিশোধ নেওয়া হোক।
এছাড়া এদিন কলকাতার রাস্তায় চীনের তৈরি টিভি ও মোবাইল পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় বাম সংগঠন ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’। অন্যদিকে সল্টলেকস্থ চীনা অ্যাম্বাসি ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন ‘এভিপি’।
লাদাখ সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনাদের মধ্যে রাজেশ ওরাও ও বিপুল রায় নামে পশ্চিমবঙ্গেরও দুজন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মরদেহ পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানোর কথা। এখনও নিহত সবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ভিএস/এইচজে