মৌসুমের প্রথম অভিযানে এমন সমস্যায় স্বভাবতই হতাশ মৎস্যজীবীরা। আম্পান চলে যাওয়ার পরও প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনা কতদিন চলবে সেই চিন্তায় রীতিমতো ঘুম ছুটেছে মৎস্যজীবী সহ জলযান মালিকদের।
এদিকে ইলিশ ধরা নিয়ে যখন এত বিপত্তি, তখন কলকাতার বাজারে বৃহস্পতিবার(১৮ জুন) চোখে পড়ল ইলিশের আগমন। দেখলে মনে হবে যে ফিরে আসা ট্রলার কিছু ইলিশ নিয়েই ফিরেছে। তবে আসলে তা নয়। যেসব ইলিশ কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বিকোচ্ছে তা গত বছর হিমঘরে মজুত রাখা মাছ।
এদিন বেহালাসহ শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র নজরে এসেছে। তবে দামও অনেক হাতাচ্ছেন বিক্রেতারা। মোটামুটি ৮'শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮'শ রুপি। এর থেকে বড় বা এক কেজির বেশি হলেই ১৩'শ থেকে ১৪'শ রুপি দাম চাইছে। দেড় কেজি হলেই একেবারে ১৮'শ রুপি দাম।
তবে লকডাউনের বাজারে দাম যাই হোক না কেনো, ক্রেতারা জানতে চাইছেন বিকনো ইলিশ টাটকা কি না? বিক্রেতারা অবশ্য সত্যিটাই বলে দিচ্ছেন। আর তাতেই ক্রেতাদের অধিকাংশ ইলিশ মাছ না নিয়েই চলে যাচ্ছেন।
মৎস্যব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন, টাটকা ইলিশ নয় বলেই কেউই নিতে চাইছেন না। বিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ। তবে তাদের আশা, চলতি মৌসুমে ইলিশের জোগান ভালো হতে পারে। তখন দামও কমবে, বাজারও চাঙ্গা হয়ে যাবে। ফলে এখনো অনেক সময় আছে।
রাজ্যের নিরিখে গত সোমবার থেকে সমুদ্রে ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হয়। যা চলবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর অব্দি। ফলে সামুদ্রিক ঝড় মিটে গেলে মোটামুটি জুনের শেষের দিকে বাঙালির পাতে উঠবে টাটকা ইলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
ভিএস /এমএমএস